Garnet Gemstone Benefits গোমেদ পাথরের উপকারিতা
Benefits of Garnet Gemstone, গোমেদ পাথর, ইংরেজিতে যাকে “Garnet Stone” বলা হয়। গোমেদ মধু রঙের খনিজ পাথর। বৈজ্ঞানিক ভাষায় এটি ক্যালসিয়াম এলোমিনিয়াম সিলিকেট এর জমাট বাধা টুকরা ছাড়া আর কিছুই না। বিশ্বাস করা হয় যে গোমেদ পাথর “রাহু” নামক গ্রহের জন্য জন্য উপকারী। গোমেদ (Jacinth) স্বচ্ছ, উজ্জ্বল, লালচে বর্ণের পাথর। পাথরটিকে উর্দুতে গোমেদ বলা হয় Garnet (Gomed) Stone। খাঁটি গোমেদ Garnet (Gomed) Stone রত্নে জির্কোনিয়াম নামে এক প্রকার মহামূল্যবান ধাতু থাকে বলেই এর নাম হয়েছে ‘জ্যাসিন্থ’। বর্ণের দিক থেকে লালচে, হলদে আভাযুক্ত, বেগুনী, জলপাই রঙ- এর মত হয়ে থাকে। এর ভেতরের দিক সুক্ষ্ম বুদ বুদ এর মত দেখা যায়। গোমেদ পাথরের উপকারিতা
গোমেদের কার্যকারিতা (Benefits of Garnet Gemstone)
লালচে আভাযুক্ত স্বচ্ছ উজ্জ্বল গোমেদের কার্যকারিতাই বেশী। খাঁটি বা আসল গোমেদ কষ্টি পাথরে ঘষলে দাগ পড়ে না বা ক্ষয় হয় না। সিংহলী গোমেদ ও ইটালিয়ান গোমেদ স্বচ্ছ, ও উজ্জ্বল আভাযুক্ত। আর খুবই ফলদায়ক। ভারতীয় গয়া গোমেদ কালচে রঙ- এর হয়ে থাকে। আলোতে কিছুটা স্বচ্ছ ও লালচে দেখায়। বেশী পরিমাণে ধারণ করলে সিংহলী ও ইটালিয়ান গোমেদের মতই ফল দেয়। মূল গোমেদ পাথরের রঙ লালচে বাদামি অথবা হলুদাভ সবুজ। রাসায়নিক নাম “জারকোনিয়াম সিলিকেট”। কিন্তূ এর ভেতর প্রায়ই হাফানিয়াম, থোরিয়াম, ইউরেনিয়াম ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় ধাতু মিশে থাকে। গোমেদকে কাটার সবচেয়ে বড় জায়গা ব্যাংকক। সেখানকার স্বচ্ছ Garnet (Gomed) Stone গোমেদ দেখলে হীরা বলে ভ্রম হয় । হীরার সঙ্গে একে চট করে আলাদা করার উপায় হচ্ছে কোনও বইয়ের ওপর গোমেদটাকে রাখা। যদি এক একটা ছাপার অক্ষর দুটো করে মনে হয়, তাহলে পাথরটা নিশ্চয়ই গোমেদ, হীরা নয়। আলোর দ্বৈত প্রতিসরণের জন্য এই ঘটনা ঘটে । অজস্র নকল গোমেদ বাজারে বেরিয়েছে। এ ধরনের একটি হচ্ছে গার্নেট । এটি কম মূল্যের পাথর। গোমেদের সাথে গার্নেটের পার্থক্য সহজেই বুঝা হয় না। Benefits of Garnet Gemstone
আপনার ভাগ্যরাশি এবং আপনার আজকের দিনটি কেমন যাবে দেখে নিন –
☛ Ajker Rashifal (রাশিফল)
Precious Gemstones
♥রত্নপাথরের ভিডিও দেখতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।
✒ রাসায়নিক গঠনসম্পাদনা উপাদান: (Chemical Composition: Garnet Gemstone Benefits)
সিলিকন বা বালুকার সঙ্গে জির্কোনিয়াম নামক এক প্রকার দুস্প্রাপ্য ধাতু মিলিত হয়ে গোমেদ বা জ্যাসিন্থ সৃষ্টি হয়।
কাঠিন্যতা (Hardness) : ৬.৫ – ৭.৫
আপেক্ষিত গুরুত্ব (Specific Gravity) : ৩.৫০-৪.৩০
প্রতিসরণাংক (Refractive Index) : ১.৭৩০-১.৭৬০
বিচ্ছুরণ (Dispersion) : ০.০৩৯
✒ জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে Benefits of Garnet Gemstone:
Benefits of Garnet Gemstone হস্তরেখা বিজ্ঞানে এবং রাশিচক্রে রাহুর রুক্ষ দৃষ্টি হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য ও রাহুর অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য গোমেদ রত্ন ধারণ করা হয়। যাদের জন্ম জানুয়ারি মাসে বিশেষ করে তাদের জন্য বার্থ স্টোন হচ্ছে গোমেদ পাথর। এছাড়া যাদের মকর রাশি (২১ ডিসেম্বর থেকে ২০ জানুয়ারি) কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি) তাদের জন্য উপকারী রাশি রত্ন পাথর হচ্ছে গোমেদ পাথর (Gomed Stone / Garnet Stone)। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গোমেদ পাথর যায়। যেমন, ইন্ডিয়া, আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা। তবে পৃথিবীর সব থেকে ভালো মানের গোমেদ হচ্ছে শ্রিলাঙ্কান গোমেদ পাথর (Siloni Gomed Stone)। যাকে সিলনি গোমেদ পাথর বলা হয়ে থাকে। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে গোমেদ পাথরের উপকারিতা (Benefits of Gomed Stone / Benefits of Garnet Stone) সমূহ নিন্ম রুপঃ Benefits of Garnet Gemstone
আমাদের সংগ্রহে পান্না পাথর দেখতে ক্লিক করুন এখানে –
☛ Collection of Emerald
✒ রাশিরত্ন পাথর গোমদে রত্ন পাথরের গুনাগুন ও গোমেদ পাথরের উপকারিতা Benefits of Garnet Gemstone:
✤ মধু রঙা অথবা সরিষা তলের রঙা গোমেদ পাথর রাহু নাকম গ্রহের খারাপ প্রভাবের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং যে কোন নেগেটিভ মানুষিক চিন্তা এবং খারাপ শক্তি থেকে থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করতে পারে। Benefits of Garnet Gemstone
✤ যে সকল মানুষের পায়ে পায়ে সমস্যা, একটার পর একটা সমস্যা লেগেই থাকে অথবা কোন কাজে হাত দিলেই সমস্যা এসে হাজির হয়, তাদের জন্য উপকারী রাশি রত্ন পাথর হচ্ছে গোমেদ পাথর।
✤ গোমেদ পাথর ব্যবহারে মানুষের দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা এবং মানুষিক সমস্যায় উপকার পাওয়া যেতে পারে।
✤ গোমেদ পাথর ব্যবহারে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়, লক্ষ্য অর্জনে পরিষ্কার দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়, বিশেষ করে যে সকল শিক্ষার্থী বা চাকুরীজীবীরা গবেষণা মূলক কাজের সাথে জড়িত তাদের জন্য।
Garnet Gemstone Benefits গোমেদ পাথরের উপকারিতা
✤ গোমেদ পাথর ব্যবহারে যে কোন পেশায় উন্নতি এবং সামাজিক ও আর্থিক দিকে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
✤ এটা ব্যবহারে মৃগী রোগ, অ্যালার্জি, চোখের সংক্রামক, সাইনাস, পাইলস ও বুক ধরফরানো রোগে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
✤ কিছু কিছু সময় এটা ক্যান্সার, রক্ত রোগ, ফোঁড়া, কুষ্ঠ, অন্ত্রের সমস্যা, অবসাদ ও উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যায় উপকার করতে পারে। Benefits of Garnet Gemstone
✤ গোমেদ পাথর ধারনে এর ব্যবহারকারী ৫টি প্রধান উপকার পেতে পারেন, যেমনঃ ধ্যান করা, আর্থিক উন্নতি, ধর্মীয় বিশ্বাস বৃদ্ধি, যৌন শক্তি বৃদ্ধি এবং মানুষিক শান্তি।
✤ পারিবারিক জীবনে সুখ বৃদ্ধি জন্য স্বামী স্ত্রী দুজনেই গোমেদ পাথর ব্যবহার করে দেখতে পারেন। গোমেদ পাথর ধারনে ভালোবাসা, মিল এবং শান্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
Garnet Gemstone Benefits গোমেদ পাথরের উপকারিতা
✤ গোমেদ পাথর ব্যবহারে যে কোন কালো জাদু থেকে মুক্ত থাকা যেতে পারে, ফলে শত্রু থেকে আগিয়ে থাকা যায় এবং প্রতিযোগটায় সফলা পাওয়া যেতে পারে।
✤ যে সকল মানুষ অনেকের মাঝে বক্তব্য দিয়ে থাকে তাদের মধ্যে শক্তির জোগাড় করতে পারে।
✤ যে সকল মানুষ কম্পিউটার সম্পর্কিত চাকুরী, সরকারী চাকুরী, আইন পেশায় জড়িত এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার সাথে জড়িত তাদের জন্য বিশেষ উপকারী হতে পারে গোমেদ পাথর।
উল্লেখিত সকল প্রকার উপকার নির্ভর করে মহান আল্লাহর ইচ্ছার উপর। তাই আল্লাহর নিয়ামত ভেবে শুধুমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে রত্নপাথর ব্যবহার করা উপকারী।
✒ গোমেদ রত্ন পাথর কোথায় পাওয়া যায়?: (Where Gemstones are Found?
এই রত্ন- পাথরটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। আজ পর্যন্ত বেশীর ভাগ গোমেদ পাথর পাওয়া গেছে সিংহলের রত্নপুরায়। তবে থাইল্যান্ডেও সম্প্রতি কিছু কিছু পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া যেমন- দক্ষিন আফ্রিকা গোমেদ পাথর, নরওয়ে গোমেদ পাথর, অষ্ট্রেলিয়া গোমেদ পাথর, রাশিয়া গোমেদ পাথর, চীন গোমেদ পাথর, ভারত গোমেদ পাথর, প্রভৃতি স্থানে পাওয়া যায়।
✒ গোমেদ রত্ন পাথর কিভাবে কাজ করে?: (How Gemstones Work)
রত্ন পাথরের নাম ও ছবি (Names and Pictures of Gemstones) মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গ পরমাণুর সমন্বয়ে সৃষ্ট। সৌরমন্ডলের গ্রহগুলোও পরমাণুর সমষ্টি। আর বিভিন্ন প্রকার রত্নগুলো এমন সব পদার্থের সমন্বয়ে সৃষ্ট যার উপস্থিতি মানব দেহেও বিদ্যমান। বিভিন্ন প্রকার রত্ন সরাসরি মানব দেহের ত্বককে স্পর্শ করে শরীরের উপর ইলেকটোম্যাগনেটিক (Electro Magnetic) প্রভাব বিস্তার করে, মানব দেহের বিদ্যমান যে কোন পদার্থের অসামঞ্জস্যপূর্ণ উপসি’তির সামঞ্জস্য আনয়ন করে। বিভিন্ন প্রকার রত্ন বিভিন্ন গ্রহের রশ্মি অতিমাত্রায় আকর্ষণ বা আরও পড়ুন
✒ গোমেদ রত্নপাথর কোন আঙুলে পরে? (Gemstones Should be Used on Correct Finger?
সুফল পেতে জেনে নিন কোন আঙুলে কোন রত্ন ধারণ করবেন। একমাত্র বৃদ্ধাঙ্গুল বাদে। প্রত্যেকটি আঙুলের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে যোগসূত্র আছে বিভিন্ন নার্ভের দ্বারা। কোন রত্ন কোন আঙুলে ধারণ করলে উপযুক্ত ফল পাওয়া যাবে, জ্যোতিষশাস্ত্রে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মগুলি: –
● তর্জনী – তর্জনীতে ধারণ করা উচিত ইয়োলো স্যাফায়ার, টোপাজ, মুনস্টোন, হোয়াইট পার্ল ইত্যাদি।
● মধ্যমা – আরও পড়ুন
✒ গোমেদ রত্ন পাথর পরার নিয়ম?: (Rules for Wearing Gemstones?)
আমাদের সকলের জীবনেই নানা রকমের সমস্যা থাকে যদিও প্রত্যেকে সমস্যা আলাদা হয়। তাই সমস্যা মুক্ত করতে আমরা প্রাণপন চেষ্টা করি। বিভিন্ন সমস্যা মেটাতে বিভিন্ন ধরনের রত্ন ধারণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন জ্যোতিষীরা। তাঁদের মতে সঠিক রত্ন সঠিক আঙুলে ধারণ করলে ঠিক ফল পাওয়া যায় তাই জেনে নেওয়া যাক কোন রত্ন কোন আঙুলে পরা উচিত – তবে এখন উপরত্ন ভিবিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয় যেমন – পাথরের ডিজাইন দেখান রত্নপাথরে আংটি পাথরের আংটি ডিজাইন, পাথরের কানের দুল পাথরের কানের দুলের ডিজাইন, পাথরের ব্রেসলেট, পাথরের নাকফুল ডিজাইন, পাথরের লকেট ডিজাইন, পাথরের গলার সেট, পাথরের গলার হার, কিন্তু মার্বেল পাথরের ডিজাইন এ পাথর দেখা যায় তা কিন্তু আসল পাথর না। আরও পড়ুন
✒ গোমেদ আসল রত্ন পাথর চেনার উপায়?: (Ways to Recognize Gemstones?)
আজকাল বাজারে নানা রকম রত্ন – পাথর পাওয়া যায়। চোখ ধাঁধিয়ে যায় তাদের রং আর উজ্জল বর্ণচ্ছটার আভা দেখলে।কিন্তু এত সব রত্ন পাথরের ভিড়ে কি করে চেনা যাবে কোনটা আসল, কোনটা নকল তা এখানে বলছি। রত্ন- পাথর (Gem stone) আসল কি নকল বুঝার জন্য অভিজ্ঞ চোখ প্রয়োজন।প্রথমত, রত্ন-পাথরের আকৃতি, রঙ, স্বচ্ছতা ও এর ভেতর সুক্ষ্ণ যে সব অবাঞ্চিত পদার্থ থাকে, তার বিন্যাস দেখে প্রাথমিক ধারণা আরও পড়ুন
✒ গোমেদ রত্নপাথরের দাম?, মূল্য কত?: (What is The Price of Gemstones?)
রত্নপাথর (Gemstone) ভিবিন্ন রকম দামের আছে, দাম নির্ভর করে পাথরের ওজন, রং, বর্ন, কাটিং, স্থান এবং কোয়ালিটির উপর, তাই সঠিক ও খাঁটি রত্নের দাম জানতে আরও পড়ুন
✒ গোমেদ রত্ন পাথর শোধন করার নিয়ম?: (Rules for Purification Gemstones?)
আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয়কৃত রত্ন পাথর আমরা বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন করে দিয়ে থাকি । আমাদের, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন করা রত্ন পাথর ধারণ করার পর দ্রুত ফল প্রদান করতে সক্ষম।আয়ুর্বেদাচার্য বাগভট্ট রত্নের স্বভাবজ ও অস্বভাবজ দোষ বার করে অস্বভাবজ দোষগুলো নষ্ট করার জন্য বিশেষ বিশেষ দ্রব্যের মাধ্যমে রত্ন শোধনের উল্লেখ করেছেন। এখন প্রশ্ন হল সঠিকভাবে রত্ন শোধন কী ভাবে করা যায় ?
● রত্নপাথর পড়ার পূর্বে প্রতিটি পাথরই বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে আরও পড়ুন
✒ রত্ন বিশেষজ্ঞ সাথে অনলাইনে নিরাপদে ব্যক্তিগতভাবে কোন সাক্ষাৎকার ছাড়াই চ্যাট এবং কল করে রত্নপাথর বিষয়ে পরামর্শ নিন
☎ imo / Whatsapp: +8801711192111